মানুষ সামাজিক নিয়ম গুলিকে ধর্ম মনেকরে আর ধর্মকে পাপ পুণ্যের আধার মনে করে। হাঁ উপযোগী নিয়ম যা মানব, প্রকৃতি ও জিবের কল্যাণের কারণে সৃষ্ট সেই নিয়ম গুলিও ধর্মের অন্তর্গত। আর বিচার হীন বিশ্বাসকে অন্ধ বিশ্বাস বলে। অন্ধ বিশ্বাস কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধর্ম হতে পারে কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেটা ক্ষতিকারক হয়। অন্ধ বিশ্বাস ও পাপ পুণ্যের হিসাবের কারনেই মানুষ প্রচলিত অপ্রয়োজনীয় নিয়ম ভাংতে দ্বিধা করে।
এই কারনেই অপ্রচলিত ও অপ্রয়োজনীয় নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। প্রথার উপযুক্ততা বুঝিয়ে দিয়ে ধর্মকে সামনে তুলে ধরার পরও পাপ পুণ্যের হিসাবে মানুষ স্থবির হয়ে যায়। এতে করে কিন্তু সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় ধর্মের। কারণ মানুষের ব্যাক্তিগত পাপ পুণ্যের হিসাবের জন্যে অধর্ম বা অপ্রয়োজনীয় নিয়ম নীতি বা প্রথা গুলি ধর্ম হিসাবে চিহ্নিত হয়ে যায়।
যরা বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন শিক্ষা দীক্ষায় ও মননে উন্নত তাঁরা উপরোক্ত কারণে ধর্মের প্রতি বিরাগভাজন হয়ে পরেন। এই ভাবেই আমরা জ্ঞানীগুণী দের এক এক করে হারাচ্ছি। লক্ষ লক্ষ জ্ঞানী গুণী এই সব কারণে ধর্ম মানিনা বলে অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এর ফলাফল সরূপ প্রথা ধরে রাখার মন যাদের এবং পাপ পুণ্যের হিসাবকেই যারা এক মাত্র নীতি বলে মানেন তাঁদের হাতেই ধর্মের লাগাম রয়ে গেছে।
প্রকৃত ধর্ম তাই যা প্রকৃতি, জিব ও মানবের মধ্যে সুসমন্বয় সৃষ্টি করে। শুধু মানব উন্নয়নের জন্যে যে নীতি তা কখনই ধর্ম নয়। সেই সব মানব সৃষ্ট ধর্ম। বিধাতার ধর্ম নীতি প্রকৃতি, জিব ও মানবের কল্যাণের জন্যে গঠিত। যদি শুধু প্রকৃতি, শুধু জিব বা শুধু মানবের জন্যে নীতি বিধাতা তৈরি করেন বলে কেউ বলতে চান তবে তিনি ঈশ্বরকে পক্ষপাতদুষ্ট ও সীমিত শক্তির বলে চিন্তা করেন।
ঈশ্বর সকল শুভ শক্তির ও ধর্মের ধারকদের মঙ্গল করুন।
Written by: Ashok Chakraborty
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন